আমি নয়টি উপন্যাস লিখেছি। ধরুন আপনি আমার পুস্তকের চরিত্রগুলির সাক্ষাৎকার নিতে পারলেন। আপনি যদি তাদের জিজ্ঞাসা করতেন, “আপনি কি কম কষ্ট পাওয়া পছন্দ করবেন?” আমি নিশ্চিত যে তারা উত্তর দিত, “হাঁ।”
আমি আমার চরিত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু লেখক রূপে, আমি জানি যে অবশেষে তাদের সকল কষ্ট পাওয়া যথার্থ হবে, কারণ সেই কষ্ট পাওয়া তাদের জন্য, এবং মুক্তির কাহিনীর জন্য অতি আবশ্যক।
আমাদের সকলকে ঈশ্বর তাঁর কাহিনীতে লিখেছেন। আমরা এমন একটা কিছুর অংশ, যেটি আমাদের নিজেদের থেকে অনেক বড়। ঈশ্বর আমাদের আহ্বান করেন যেন আমরা তাঁর উপরে বিশ্বাস রাখি যে, তিনি আমাদের সেই কাহিনীতে এমন ভাবে বুনবেন, যেন যে কাহিনীর কোন শেষ হবে না সেই কাহিনীতে অবশেষে, যখন তিনি কিভাবে তাঁর কাহিনীর রেখাগুলি বুনেছেন, তাঁর সেই প্রচণ্ড প্রতিভা দেখে আমরা হাঁ হয়ে গিয়ে তাঁর উপাসনা করি।
অর্থহীন ব্যাথা?
কিন্তু আমার কাল্পনিক চরিত্রগুলির, যারা আমার কৌশল সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের মতোই আমাদেরও এটা দেখতে পাওয়ার শক্তির অভাব আছে যে, আমাদের জীবনের বিভিন্ন অংশগুলি কিভাবে ঈশ্বরের সম্পূর্ণ পরিকল্পনার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। ক্যান্সার, শারীরিক অক্ষমতা, দুর্ঘটনা, এবং অন্যান্য ক্ষতি ও দুঃখগুলি ভীষণ ভাবে অর্থহীন বলে মনে হয়। কিন্তু কষ্ট ভোগ করার মধ্যে কি উদ্দেশ্য আছে, কেবল মাত্র আমরা সেটি বুঝতে পারি না বলে এমন প্রমাণ হয় না যে, সেই কষ্টগুলি সহ্য করার মধ্যে কোন অর্থ ছিল না।
জনি ইরেক্সন টাডা, চাকা লাগানো চেয়ারের উপরে তাঁর পঞ্চাশতম বৎসর উদযাপন করছেন। এখানে উদযাপন কথাটি বলা কি ভুল? ১৭ বছর বয়স্কা জনির কাছে নিশ্চিত রূপে তখন এটি ভুল ছিল যখন তিনি মরিয়া হয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তবুও পিছনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই তাঁর উল্লেখযোগ্য চারিত্রিক বৃদ্ধি এবং আমার পরিবার সহ অগণিত মানুষদের জীবনকে ঈশ্বর জনির মাধ্যমে স্পর্শ করেছেন। শাস্ত্র আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে, আমাদের সার্বভৌম ঈশ্বরের প্রেমী হাতে, আমাদের সহ্য করা কোন কষ্টই কখনোই উদ্দেশ্যহীন হয় না, সেই মুহূর্তে সেই কষ্টগুলিকে যেমনই মনে হোক না কেন।
বহুবার যখন এমন কোন ঘটনা ঘটে, যেগুলিকে সেই সময়ে অর্থহীন বলে মনে হয়, সেই সকল ক্ষেত্রে কতবার ঈশ্বরের একটি উদ্দেশ্য থাকে?
সকল কিছুই ঘটে আমাদের অনন্তকালীন মঙ্গলের জন্য।
রোমীয় ৮:২৮ পদ হল শাস্ত্রের সব থেকে আকর্ষণীয় উক্তিগুলির মধ্যে একটি: “আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য্য করিতেছে।” প্রেক্ষাপট দেখায় যে, একটি আর্তস্বর করতে থাকা, স্ফীত হতে থাকা জগতে, ঈশ্বরের লক্ষ্য হল, তাঁর সন্তানদের খ্রীষ্টের সদৃশ করা। এবং আমাদের মধ্যে খ্রীষ্টের সদৃশ চরিত্র গড়ে তোলার জন্য ঈশ্বর আমাদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতিগুলির মাধ্যমে কাজ করেন।
পুরাতন নিয়মের রোমীয় ৮:২৮ পদে, (যে ভাইরা তাঁকে দাসত্বের জন্য বিক্রি করে দিয়েছিল), তাদের উদ্দেশ্যে যোষেফ বলেছিলেন, “তোমরা আমার বিরুদ্ধে অনিষ্ট কল্পনা করিয়াছিলে বটে, কিন্তু ঈশ্বর তাহা মঙ্গলের কল্পনা করিলেন, অদ্য যেরূপ দেখিতেছ, এইরূপে অনেক লোকের প্রাণ রক্ষ্যা করাই তাঁহার অভিপ্রায় ছিল” (আদিপুস্তক ৫০:২০)।
“ঈশ্বর তাহা মঙ্গলের কল্পনা করিলেন,” কথাটি নির্দেশ করে, ঈশ্বর যে কেবল মন্দ পরিস্থিতি সর্বোত্তম বিষয়ে পরিবর্তন করেন এমন নয়, বরং তিনি সম্পূর্ণ রূপে সচেতন ছিলেন যে যোষেফের ভাইরা কি করবে, এবং উন্মুক্ত ভাবে তাদের পাপ করাকে অনুমোদন করে ঈশ্বর চাইলেন উত্তম কিছু করার জন্য মন্দ পরিস্থিতিকে ব্যবহার করতে। তিনি এমনটি করেছিলেন অনন্তকাল অতীতে তাঁর পরিকল্পনা অনুসারে। ঈশ্বরের সন্তানরা, অর্থাৎ “আমরা ঈশ্বরের অধিকারস্বরূপও হইয়াছি। বাস্তবিক যিনি সকলই আপন ইচ্ছার মন্ত্রণানুসারে সাধন করেন, তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আমরা পূর্বে নিরূপিত হইয়াছিলাম;” (ইফিষীয় ১:১১)।
যোষেফের জীবনে ঈশ্বরের কোন কাজই এমন প্রস্তাব করে না যে, ঈশ্বর তাঁর অপর সন্তানদের প্রতি ভিন্ন ব্যবহার করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে রোমীয় ৮:২৮ এবং ইফিষীয় ১:১১ পদগুলি দৃঢ় রূপে বলে যে আমাদের জন্যও ঈশ্বর একই ভাবে কাজ করে থাকেন।
আপনি কি রোমীয় ৮:২৮ পদের প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাস করেন? আপনার জীবনে সব থেকে খারাপ যা কিছু ঘটেছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করুন এবং তারপর আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি কি এমন বিশ্বাস করেন যে সেই সকল কিছুকে ঈশ্বর আপনার মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করবেন। বাইবেল বলে যে ঈশ্বর তেমনটিই করবেন।
আমাদের বিশ্বাস করার অনুগ্রহ দান।
আমরা যদি মূর্খের মতো এমন ধারণা করি যে আমাদের পিতা ঈশ্বরের কোন অধিকার থাকে না আমাদের বিশ্বাস পাওয়ার, যদি না তিনি তাঁর অসীম প্রজ্ঞাকে আমাদের কাছে বোধগম্য করেন, তাহলে আমরা নিজেরাই একটি অসম্ভব পরিস্থিতির সৃষ্টি করি – ঈশ্বরের সীমিত হওয়ার কারণে নয় কিন্তু আমাদের সীমিত হওয়ার কারণে (দেখুন যিশাইয় ৫৫:৮-৯)।
যোষেফ যেমন সব শেষে সেই অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন, কখনো কখনো সেই ভাবে ঈশ্বর আমাদের তাঁর যুক্তির একটু ঝলক দেখান। কিছু সময় পূর্বে আমার একজন বন্ধু ভয়ানক এক দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন এবং বেদনাদায়ক ভাবে সুস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি তাঁর জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছিল। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা তাঁর এমন কিছু ভিন্ন স্থিতি প্রকাশ করেছিল, যেগুলির প্রতি তাৎক্ষনিক মনোযোগ দেওয়া আবশ্যক ছিল।
সেই ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পিছনে থাকা অবশ্যম্ভাবী একটি কারণ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা কারণ জানতে পারি না। কিন্তু যখন আমরা জানি যে আমরা বহু বিষয় জানি না, তা সত্ত্বেও, কেন আমরা এমন ধারণা করবো যে যেহেতু আমরা আমাদের ব্যাথার কারণ জানি না তার মানে সেখানে কোন কারণই নেই? একমাত্র ঈশ্বরই নির্ধারণ করতে পারেন যে কোনটি অর্থহীন এবং কোনটি অর্থহীন নয়। (যীশুর প্রচণ্ড যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যুকে কি সেই সময়ে অবাঞ্ছিত এবং অর্থহীন এই উভয় রূপে দেখায় নি?)
অনন্ত আনন্দের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়া
যোষেফকে যদি মনোনয়ন করতে দেওয়া হতো যে তিনি সেই সকল পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবেন কি না, তাহলে আমি নিশ্চিত যে যোষেফ ঈশ্বরের লেখা কাহিনী থেকে পালিয়ে যেতেন। ইয়োবের কাহিনীর মধ্যবর্তী স্থানে – যখন তাঁর দশটি সন্তানের মৃত্যু হল, তাঁর শরীর ফোঁড়ায় ঢেকে গেল, মনে হল ঈশ্বর তাঁকে ত্যাগ করে দিয়েছেন – তখন আপনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন যে তিনি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান কি না। আমি জানি তাহলে ইয়োব কি উত্তর দিতেন, কারণ ইয়োব ৩:১১ পদে তিনি বলেছেন, “আমি কেন গর্ভে মরি নাই?”
কিন্তু এখন সেই সকল কিছু পার হয়ে গিয়েছে। আগত নূতন পৃথিবীতে, বিলাসবহুল ভোজে ইয়োবের এবং যোষেফের এবং যীশুর পাশে বসুন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন, “সেই সকল ব্যাথা পাওয়া কি যথার্থ ছিল?”
আপনার প্রশ্নের উত্তরে ইয়োব বলবেন, “অবশ্যই যথার্থ ছিল,।” যোষেফ দৃঢ় রূপে সম্মতিসূচক মাথা নাড়াবেন। ভাবার প্রয়োজন নেই যে যীশু কি উত্তর দেবেন।
আমাদের যে ব্যাথাগুলির অধিকাংশই আমরা বুঝতে পারি নি এবং যেগুলিতে আমরা ভীষণ ভাবে অসন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম, একদিন আমরাও সেগুলির পিছনে থাকা দীর্ঘসূত্রী উদ্দেশ্য এবং ঈশ্বরের অসীম দয়া দেখতে পাবো। আমরা তখন ভাববো যে কেন আমরা এমন প্রার্থনা করেছিলাম যে আমরা যেন অধিকতর রূপে যীশুর ন্যায় হই কিন্তু সেই একই সময়ে ঈশ্বরের কাছে এই ভিক্ষা চাইছিলাম যে, ঈশ্বর আমাদের জন্য যা পাঠিয়েছেন আমাদের প্রার্থনার উত্তরে তিনি যেন সেগুলি সরিয়ে নেন।
“এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, ... বস্তুতঃ আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপম রূপে আমাদের জন্য অনন্তকালস্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে; আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষনকাল–স্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী” (২ করিন্থীয় ৪:১৬-১৮)।
বিশ্বাস হল আজ সেটি মেনে নেওয়া, যেটি প্রথম থেকেই সর্বদা সত্য ছিল বলে একদিন আমরা দেখতে পাবো।
ঈশ্বরের সর্বদাই একটি উদ্দেশ্য থাকে, এই কথা বিশ্বাস করার জন্য আসুন আমরা আমাদের মৃত্যুর পাঁচ মিনিট পর পর্যন্ত অপেক্ষা না করি। আসুন আমরা আমাদের অনুগ্রহকারী, সার্বভৌম, এবং সর্বদা উদ্দেশ্য প্রণোদিত মুক্তিদাতার উপরে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রেখে এটি এখানেই এবং এখনই করতে শিখে নিই।
Trusting God When the Pain Seems Pointless
I’ve written nine novels. Suppose you could interview characters from my books. If you asked them, “Would you like to suffer less?” I’m sure they’d answer, “Yes!”
I empathize with my characters. But as the author, I know that in the end all their suffering will be worth it, since it’s critical to their growth, and to the redemptive story.
God has written each of us into His story. We are part of something far greater than ourselves. God calls upon us to trust Him to weave that story together, so that, in the end that will never end, we will worship Him, slack-jawed at the sheer genius of His interwoven plot lines.
Pointless Pain?
But like my fictional characters, who are clueless to my strategies, we lack the perspective to see how parts of our lives fit into God’s overall plan. Cancer, disabilities, accidents, and other losses and sorrows appear devastatingly pointless. However, just because we don’t see any point in suffering doesn’t prove there is no point.
Joni Eareckson Tada is celebrating her fiftieth year in a wheelchair. Does celebrating seem the wrong word? It certainly would have to Joni as a 17-year-old desperately wanting to end her life. Yet looking back, we see her exponential character growth and the countless lives — my family’s included — God has touched through Joni. Scripture teaches us that in our sovereign God’s loving hands, no suffering we face is ever purposeless, no matter how it seems at the moment.
How many times does God have a purpose in events that seem senseless when they happen?
All Things for Our Eternal Good
Romans 8:28 is one of the most arresting statements in Scripture: “We know that for those who love God all things work together for good, for those who are called according to his purpose.” The context shows that in a groaning, heaving world, God’s concern is conforming His children to Christ’s image. And He works through the challenging circumstances of our lives to develop our Christlikeness.
In the Romans 8:28 of the Old Testament, Joseph said to his brothers (who’d sold him into slavery), “As for you, you meant evil against me, but God meant it for good, to bring it about that many people should be kept alive” (Genesis 50:20).
“God meant it for good” indicates God didn’t merely make the best of a bad situation; rather, fully aware of what Joseph’s brothers would do, and freely permitting their sin, God intended that the bad situation be used for good. He did so in accordance with His plan from eternity past. God’s children have “been predestined according to the purpose of him who works all things according to the counsel of his will” (Ephesians 1:11).
Nothing about God’s work in Joseph’s life suggests He works any differently in the lives of His other children. In fact, Romans 8:28 and Ephesians 1:11 are emphatic that He works the same way with us.
Do you believe the promise of Romans 8:28? Identify the worst things that have happened to you, and then ask yourself if you trust God to use those things for your good. The Bible asserts that He will.
The Gift of Our Trust
If we foolishly assume that our Father has no right to our trust unless He makes His infinite wisdom completely understandable, we create an impossible situation — not because of His limitations, because of ours (see Isaiah 55:8–9).
Occasionally, like Joseph eventually experienced, God gives us glimpses of His rationale. Some time ago, a friend of mine endured a serious accident and a painful recovery. But it saved his life. Medical tests revealed an unrelated condition that needed immediate attention.
In that case, a compelling reason for the accident became clear. In other cases, we don’t know the reasons. But given all that we don’t know, why do we assume our ignorance of the reasons means there are no reasons? Only God is in the position to determine what is and isn’t pointless. (Didn’t the excruciating death of Jesus appear both gratuitous and pointless at the time?)
A Head Start on Eternal Joy
Given the option while facing his trials, I’m confident Joseph would have walked off the stage of God’s story. In the middle of Job’s story — with ten children dead, his body covered in boils, apparently abandoned by God — ask him if he wants out. I know his answer because in Job 3:11 he said, “Why did I not perish at birth?”
But that’s all over now. On the coming New Earth, sit by Job and Joseph and Jesus at a lavish banquet. Ask them, “Was it really worth it?”
“Absolutely,” Job says. Joseph nods emphatically. No need to wonder how Jesus will respond.
One day, we too will see in their larger context, with an eternal perspective, God’s severe mercies, some of which we never understood, and others we resented. We’ll wonder why we prayed to be more like Jesus but then begged God to remove what He sent to answer those prayers.
“Therefore we do not give up. . . . For our momentary light affliction is producing for us an absolutely incomparable eternal weight of glory. So we do not focus on what is seen, but on what is unseen. For what is seen is temporary, but what is unseen is eternal” (2 Corinthians 4:16–18, CSB).
Faith is believing today what one day, in retrospect, we will see to have been true all along.
Let’s not wait until five minutes after we die to trust that God always has a point. Let’s learn to do it here and now, eyes locked on our gracious, sovereign, and ever-purposeful Redeemer.
Photo: Unsplash